পুজোর কয়েকটা দিন কাজ দূরে রেখে একটু ছুটির মুডে। কাজ হোক কিংবা সাজ মা ও মেয়ের বণ্ডিং কিন্তু আলাদাই চমক আনে সবসময়। দুজনের স্টাইল স্টেটমেন্ট বলে দেয় সেই রিয়েল লাইফ কেমিস্ট্রির কথা। মহালয়া থেকেই কিন্তু তাঁদের পুজোর স্টাইল-স্টেটমেন্ট-এর শুরু হয়। এবার পুজোয় মা-মেয়ের ফ্যাশন প্ল্যানিং শেয়ার করলেন অদ্বিতীয়ার শারদবরণে।
পঞ্চমী
ঢাকে কাঠি পড়েছে। মনের কোণে কাশফুলের নরম ছোঁয়া। পঞ্চমীর সন্ধেটা কাটবে একটু অন্যরকম কাজে। পুরোপুরি ছুটি না পেলেও মন থাকবে খানিক ফুরফুরে। এদিনের জন্য মা মেয়ে বেছে নিয়েছেন হলুদের সঙ্গে গোল্ডেন কাজ করা সিল্কের লং গাউন। হলুদ ছোঁয়ায় অঙ্গে নতুন সাজ পঞ্চমীর সাজকে করে তুলবে আরও মনোমুগ্ধকর।
ষষ্ঠী
ষষ্ঠীর দিন মন যতই উড়ু উড়ু হোক, খুশির জোয়ারে গা ভাসানো চলবে না পুরোপুরি। অফিসের ওয়ার্কিং ডে। তাই ষষ্ঠীর সাজ একটু অন্যরকম। এদিনের জন্য মা মেয়ের পরণে ম্যাচ করে গামছা প্রিন্ট-এর শাড়ি ও ফ্রক। হাই হিল, হালকা সাজ আর হাই এন্ড ফ্যাশনে অ্যাট্রাকটিভ লুক এনে দিয়েছে ফেস্টিভ সাজ।
সপ্তমী
সপ্তমীতে চারিদিকে খুশির মেজাজ। এদিন থেকেই অফিস ছুটি। কিন্তু তা হলেও মা আর মেয়েকে যেতেই হবে কেয়া শেঠ এক্সক্লুসিভে। অনেক দূর দুরান্ত থেকে ক্রেতারা সপ্তমীর সকালেই এসে পৌঁছন কেনাকাটা করতে। আবার অনেকেরই ছুটি পেলে তবে কেনাকাটা শুরু হয়। তাঁদের কোন পোশাকে তৈরি হবে ডিস্টিংগুইসড স্টাইল স্টেটমেন্ট, সেই পরামর্শ দেওয়ার জন্যই যাওয়াটা দরকার। আর তার জন্যেই পছন্দ করা ঢাকাই জামদানি। হলুদ আর গোলাপী এবং আকাশী রঙের মিশ্রণে ঢাকাই শাড়ি মায়ের সপ্তমীর লুককে এনে দিয়েছে এক অন্য স্নিগ্ধতা। অন্যদিকে মেয়ের পরণে চিকন-কারীর কাজ করা লং গাউনের সঙ্গে গোলাপী সারারা ফ্যাশনে এনে দিয়েছে অ্যাট্রাকটিভ লুক।
অষ্টমী
অষ্টমীর স্টাইল এক্সপ্রেশনে শুধুই লাল সবুজের কম্বিনেশন। দুজনের পোশাক আলাদা হলেও কালার স্টেটমেন্ট এক। মায়ের পরণে গোল্ডেন মোটিফের কাজ করা সবুজ পাড়ের সঙ্গে কম্বিনেশন করে লাল বেনারসি শাড়ি আর মানানসই গয়না। মেয়ের পরণে লাল রঙের বেনারসি লহেঙ্গার সঙ্গে ম্যাচিং করে কম্বাইন্ড ব্লাউজ এবং বেনারসি দোপাট্টা স্টাইল স্টেটমেন্টে এনে দিয়েছে এক অন্য মাত্রা।
নবমী
নবমীর সাজ হোক গর্জিয়াস। ড্রেস সিলেকশনে মা মেয়ে দুজনেই দুজনের আয়না। এদিন মা কেয়া শেঠ বেছে নিয়েছেন পিঙ্ক এবং হোয়াইট-এর কম্বিনেশনের লহেঙ্গা। অন্যদিকে মেয়ে মিষ্টি’র পরণে সবুজ ব্লাউজের সঙ্গে সাদার কম্বিনেশনে লহেঙ্গা। তার সঙ্গে মানানসই জুয়েলারি নবমীর সাজকে করে তুলেছে এলিগেন্ট।
দশমী
এবার এলো বিদায় বেলা। শহর জুড়ে আলোর মালা, যদিও চেনা শহর আজ অচেনা, তবু তারই মধ্যে থাকবে উৎসব শেষের সঙ্কেত। ঠাকুরবরণ, সিঁদুর খেলা, মিষ্টিমুখ- দশমীর গোধূলিতে প্রীতি বিনিময়। বাঙালির চিরন্তন প্রথা। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়দের সঙ্গে আজ তাই কেয়া শেঠ চিরন্তনী। এঁয়ো স্ত্রীদের সঙ্গে সিঁদুরখেলায় যোগ দিলেও মেয়ে মিষ্টিও থাকবে তাঁর পাশে। দু’জনেরই তাই দশমীর সাজ ট্র্যাডিশনাল শাড়ি। মিষ্টির পরণে লাল পাড় ঘিয়ে রঙের ট্যিসু বেনারসি। আর কেয়া শেঠের পরণে কাঞ্জিভরম। দুজনের সাজেই আজ ঐতিহ্যের পরম্পরা।
পোশাকঃ কেয়া শেঠ এক্সক্লুসিভ
ফোনঃ ০৩৩-৪০৬৫-৫০৬