ঘটনাটি শহর কলকাতার নাম করা এক পতিতা পল্লীর , স্থান টার নাম
“সোনাখালি ”
ঘটনায় পরে আসছি ,তার আগে দু চারটি কথা বলি ,কতো ঘটনা তো মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেয় , কতো ঘটনা তো হারিয়ে যায় নিশীথের অন্ধকারে,
শহরের আনাচে কানাচে, ফুটপাতে,ধনীদের অট্টালিকায় ,অথবা মাঠে ময়দানে,ফুটপাতে,চায়ের দোকানে, নামকরা কোন বারে ,রেস্তরাঁয়,ট্রেনে
বাসে ,শপিং মলে ,রেলসেটশনে ,অথবা শহরের কোন পতিতা পল্লীতে , এতো বিশাল জনসংখ্যার মাঝে কে কার খোঁজ রাখে?
সময়টা শ্রাবণের ঘন কালো মেঘে ঢাকা বর্ষন মুখর রাত,ভর সন্ধ্যায় এক নাগাড়ে প্রায় ঘন্টা খানেক মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে গেছে,এখনো প্রায় সারা আকাশ টাই মেঘে ঢাকা সঙ্গে বিদ্যুত চমকাচ্ছে, কখনো ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি পড়ছে সঙ্গে বিদ্যুতের চমক, সময়টা কম নয় ,রাত বারোটার ঘর ছুঁই ছুঁই করছে ,চারদিকের পথ ঘাট শুনশান,পথে ঘাটে লোক জন তেমন একটা নেই,ছোট চার চাকার গাড়ি সংখ্যা খুবই কম,ভোঃ ভোঃ করে বড় বড় লরি গুলো বিকট শব্দ করে উত্তর থেকে দক্ষিণ,দক্ষিণ থেকে উত্তরের মুখে যাচ্ছে,শহরের মানুষ এখনো আঁধো আঁধো জাগা ,তবে শহরের সমস্ত দোকান পাটে ঝাঁপ পরে গেছে, দু একটা পান ,বিড়ি,সিগারেটের দোকান হয়তো বা খোলা আছে, ফাঁকা রাস্তায় কখনো তীব্র বেগে ছুটে চলেছে,কোন সিগন্যাল মানছে না, শহরে কলকাতার নাম করা পতিতা পল্লী ,নাম “সোনাগাছি ” ,মেয়েরা রাতের আঁধারে অর্থের বিনিময়ে তাদের দেহ খানা পর পুরুষ মানুষের কাছে বিক্রি করে। সমাজের কতো নেকড়ের থাবা থেকে । নিজেদের রক্ষা করার জন্য কতো অসহায় মেয়ে এই নোংরা জীবন খানা বেছে নিতে বাধ্য হয়, পুরুষের কাম মেটানোর একটা স্থান, কামোদ্যিপক মানুষ গুলো রাত টাকে উপভোগ করে, ঘড়ির কাঁটা বারোটার ঘর ছুঁই ছুঁই করছে,কয়েক মিনিট বাঁকি , সেন্ট্রাল এভিনিউর মেইন রাস্তায় তখনও,লাল কমল ,বিল্ডিং এর সঙ্গের রাস্তায় তখনও অনেক মেয়েরা দাড়িয়ে কেউ ছাতা নিয়ে অথবা কেউ কোন বাড়ি বা দোকানের শেষে মাথাটা বাঁচিয়ে, দোতলার, তিনতলার, চারতলার ছোট ছোট ঘর গুলো থেকে টিম টিমে আলো দরজা,জানালা ভেদ করে বাইরে বের হয়ে আসছে, সেখান কারই একটা ঘরে থাকে এখন কার নাম লক্ষ্মী বলেই চেনে সবাই, ভালো নাম কঙ্কনা, সবার মতো ও ও সেজে গুঁজে মুখে রং মেখে বসে থাকে খদ্দরের জন্য,সারা দিন ধরেই আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা, সন্ধ্যা বেলা একটা ভাল পয়সা য়ালা মালদার পার্ট এসেছিল তাদের চাহিদা পূরণ করতে লক্ষ্মীর অনেক ধকল গেছে, এখন শরীরটা একদম কাহিল হয়ে গেছে,এখন একটু চেয়ারে হেলান দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে , “আসবো ভিতরে”?
একবার নয় দুবার, দ্বিতীয় বারের ডাকে লক্ষ্মীর তন্দ্রা টা ছুটে গেল, আবার বললো “ভিতরে আসবো”?
অবাক হয়ে গেল লক্ষ্মী, মনে মনে ভাবল সবাই তো আমাদের গাল দিয়ে , খিস্তি দিয়ে কথা বলে সেখানে কে অমন করে আসবো করে বিনয়ের সুরে ডাকছে,
“কে আসুন ভিতরে “?
পা টিপে টিপে ভিতরে ঢুকল একজন পুরুষ মানুষ , খুব বেশি খায় নি তবে মুখ থেকে মদের গন্ধ বার হচ্ছে,
“কি ব্যাপার তুমি “? “কি মনে করে “?
“কেন তোমাদের এখানে আসতে মানা আছে নাকি “?
“না মানা থাকবে কেন এখানে পয়সার বিনিময়ে সবাই, সব সময় আসতে পারে, আর মাসির সঙ্গে দেখা করেছ?
ওনাকে টাকা দিয়েছ ?
হাঁ ওগুলো সব হয়ে গেছে তোমার চিন্তা নেই, চিন্তা তো হয় না হলে তো ঐ পয়সা আমার গাঁট থেকে যাবে,
“কি হল দাড়িয়ে আছ কেন বোসো”,
পুরুষ মানুষ টি চকিতে বসালো, “তুমি খুব টায়ারড তাই না” ?
“হাঁ সমীরণ “সন্ধ্যা বেলা একটা মালদার পার্টি এসে ছিল শরীর খুব ধকল গেছে,বাদ দাও বলো কি খাবে রাম ,না হুইস্কি? না বিয়ার ? যদি বলি কোনটাই খাব না,
খেয়ে এসেছ নাকি?
“অল্প একটু খেয়েছি ”
তুমি এখানে এসেছ বউকি বাপের বাড়িতে নাকি?
“বাপের বাড়ি যাবে কেন আমার বাড়িতেই আছে,”
“তোমার বউ জানতে পারলে তোমার উপর রাগ করবে না “?
“বাদ দাও সে সব তোমার ব্যাপার যা করতে এসেছে তাই কর “বলে কঙ্কনা ওরফে লক্ষ্মী এক টানে শাড়ি টা খুলে মেঝেতে ফেলে দিল “,
“সমীরণ লজ্জায় মুখ টা নিচু করে ফেললে “,
“কি হল আমাকে ধরবে না “?
কোন কথা নেই মুখে কঙ্কনা ধীরে ধীরে ধীরে এক এক করে সায়া ,ব্লাউজ খুলে সমীরণের সামনে
পুরো নগ্ন হয়ে গেল , “কি হল সমীরণ কেন এসেছ আমি তো অর্থের বিনিময়ে আমর এই দেহ বিক্রি করি তুমি আমাকে ভোগ না করে ও আমাকে টাকা দেবেতো “,
কোন কথা নেই মুখে শুধু এক দৃষ্টিতে কঙ্কনার দিকে তাকিয়ে রইল সমীরণ, “কি দেখছ সমীরণ আগে থেকে আমার শরীর টা অনেক খারাপ হয়ে গেছে তাইনা”?
“হাত জোর করে সমীরণ কঙ্কনার দিকে তাকিয়ে বললো ‘তোমার কাছে হাত জোর করে অনুরোধ করছি আমার ছেলে টা কে একটি বারের জন্য আমাকে দেখাবে”?
“ও এই জন্য তুমি এসেছ”?
“যদি বলি হাঁ এই জন্য তোমার কাছে এসেছি “।
“ভুল করেছ সমীরণ আর কোন দিনের জন্য তা সম্ভব নয় তোমাদের মতো ভদ্র লোক আর দেখতে পারবে না । যারা অসহায় একটা মেয়েকে রাতের আঁধারে ভোগ করে,নেকড়ে বাঘের মতো ছিড়ে খেয়ে তার পর দুর ছাই করে দূরে ছুরে ফেলে দিয়ে এখন শোয়াগ দেখাতে এসেছ, তোমার পরিনতির জন্য আজ আমি রাতের অন্ধকারে এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন, না সমীরণ আমার ছেলে তোমার নয় আমার পরিচয়ে বড় হবে
আর জানো এখানকার ছেলে মেয়েরা বাবা নয় মায়ের পরিচয়েই বড় হয় ”
“তা হলে তুমি ছেলেকে দেখাবে না “?
“বললাম তো না “,
অনেক রাতে সমীরণ কঙ্কনার ঘর ছাড়ল ,যাওয়ার সময় এক থোকা নোট দিয়ে চলে গেল ,কঙ্কনা তখনও নগ্ন।
১ Comment