আগমনী || প্রদীপ চিকি

অনিন্দ্যর বাড়িতে আজ জমকালো পার্টি। ছাদটা শেড দিয়ে ঢেকেছে সম্প্রতি। সেই ছাউনির নিচে রঙিন আলোর ফোয়ারা। মিউজিক সিস্টেমে হিন্দি আইটেম নাম্বারের ডিজে রিমিক্স। ছাদের একপ্রান্তে বার কাউন্টার। হরেক কিসিমের সুরা। লোকজন খুব বেশি নয়। তবুও আয়োজনে কার্পণ্য নেই। যে যার পছন্দমাফিক বোতল থেকে ঢেলে নিয়ে পেগ বানিয়ে নাও। তারপর উল্লাস! আজকের পার্টির হোষ্ট মনীষা। আমন্ত্রিতের তালিকায় ওঁর কয়েকজন কলিগ। বেশিরভাগ ফেসবুকের লেডিস পের বন্ধু। অনিন্দ্যকেও বলেছিল, ‘তুমি চাইলে তোমার বন্ধুদের ডাকতে পারো। নো প্রবলেম’।
মনীষার প্রস্তাবে সে সায় দেয়নি। বরং, এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে পার্টির আয়োজনের পক্ষপাতী ছিল না। মনীষাকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে, ‘এখন পরিস্থিতি ভালো নয়। পাশের বাড়ির জেঠু কদিন আগেই চলে গেলেন। এভাবে, পার্টি করাটা কি ঠিক হবে?একটু ভেবে দেখ’।

অনিন্দ্যর কথা গুরুত্ব দেয়নি মনীষা। বলেছিল, ‘কার কি হল সেজন্য আমি আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকব কেন? আমার জীবন আমার মতো করেই এনজয় করব’।
মনীষার একরোখা মেজাজটা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে।সাংসারিক বিষয়ে আলোচনা করা মুশকিল হয়ে উঠছে অনিন্দ্যর।কিছু বললেই দু-চার কথা শুনিয়ে দেয়। তারপর নিজের মর্জির কথাটা তুলে ধরে।অধিকাংশ সময়েই অনিন্দ্যর সেটা পছন্দ হয় না।নিজের ভাবনা অনুযায়ী একটা কাজ করতে পারে না।অনিন্দ্যর মনে হয় একটা মাকড়সার জালের মধ্যে সে জড়িয়ে পড়েছে। সংসার নামক জালের একপ্রান্তে সে আটকে। অন্যদিকে মনীষা।বিষাক্ত রস উগরে দিচ্ছে সবসময়।সেই আঠালো বিষে জড়িয়ে যাচ্ছে অনিন্দ্য। শরীরের ক্ষত প্রবেশ করছে মনে।এভাবে আর কতদিন। অনিন্দ্যর মনে হয় এবার একটা হেস্তনেস্ত হওয়া দরকার।সারাটা জীবন এভাবে কাটাতে পারবেনা।

কি করবে সে? ডিভোর্স স্যুট ফাইল করবে? সে তো আরেক ঝামেলা। অনিন্দ্য নিশ্চিত, মনীষা ওকে ডিভোর্স দেবে না। কেসটা ঝুলিয়ে রেখে দেবে। যতদিন না অনিন্দ্য বশ্যতা স্বীকার করছে। ডিভোর্স দিয়েই বা কি লাভ।অনিন্দ্য কি একা থাকতে পারবে?ওই বাচ্চাটাকে কাছে পাবে তার নিশ্চয়তা কোথায়? ঠিকঠাক মানুষ করতে না পারলেও বাবানকে কাছছাড়া করবে না মনীষা। একটা বাচ্চার ভবিষ্যত অন্ধকার

হয়ে যাবে ওঁর সিদ্ধান্তে। মনীষার উপর রাগ করে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আখেরে বাবানকেই ঠকানো হবে।

পাঁচ বছরের একটা বাচ্চা শৈশবটাই যদি না ভালো করে উপভোগ করতে পারল, জীবনের অর্ধেকটাই শূন্য থেকে গেল।বাড়িতে দাদু-ঠাকুমার আদর পেল না।পার্কের মাঠের ঘাষের পরশ পেল না। অথচ বড় হয়ে গেল। অনিন্দ্য এসব ভাবতেই পারেনা।

সত্যিই ও কি ভেবেছিল বাবানের কপালে ঠাকুমার স্নেহচুম্বন জুটবে। মনীষা মাকে ফিরিয়ে আনার কথা বলবে এটা কল্পনাতীত ব্যাপার।বাবানের তখন বছর খানেক বয়স। শাশুড়ি-বৌমা সংঘাতে মাকে বাড়িছাড়া হতে হয়েছিল। অনিন্দ্য নিজে মাকে রেখে এসেছিল ‘গোল্ডেন ওল্ড এজ’ হোমে। কদিন আগে অনিন্দ্যর ফোনটা পেয়ে নিজের কানকে বিশ্বাস হয়নি সুমিতার।‘সত্যি বলছিস, আমি আবার তোদের সঙ্গে থাকব’।আবেগে গলা ধরে এসেছিল মায়ের।অনিন্দ্য নিজেও কল্পনা করতে পারেনি মনীষা এভাবে মত বদলাবে। প্রথমবার ভেবেছিল নেশার ঘোরে কথাটা বলছে।

***

সেদিন বাবান ঘুমিয়ে পড়ার পর ওঁরা ড্রিঙ্কস নিয়ে বসেছিল।মনীষা ইদানিং একটু বেশিই ড্রিঙ্ক করছে। প্রথমে অনিন্দ্য আপত্তি করেনি। ওঁর একটা পার্টনার হয়ে যায়। ড্রিঙ্ক করলে মনীষা অন্য মানুষ হয়ে যায় অদ্ভুতভাবে।মন দিয়ে অনিন্দ্যর কথা শোনে।নিজেও বেশ সাংসারিক কথার্বার্তা বলে।

ব্যালকনির নীল আলো মনীষার নাইট গাউনকে মায়াবী করে তুলছে। তিন পেগ পেটে চালান হওয়ার জন্য বোধহয় মনটা উড়ুউড়ু হয়েছে।ঝগড়ুটে বউটাকে আদর করতে ইচ্ছে করছে অনিন্দ্যর। কতদিন ওরা কাছে আসেনি।ভুল বলল।কাছে এসেছে। সে নেহাত শরীরের তাগিদে।মনের সন্ধি শেষ কবে হয়েছে কে জানে। আজকাল বোতল-গ্লাস নিয়ে মনীষাই বেশি বসে। ওঁর নাকি ফাস্ট্রেশন। বাড়িতে বসে থেকে কিসের ফাস্ট্রেশন অনিন্দ্য বুঝে পায় না। মনীষাও যুতসই উত্তর দিতে পারেনা।শপিং, উইক এন্ড ট্রিপ এসব একবছর বন্ধ।এবারেও পুজোয় কোথাও যাচ্ছে না। থার্ড ওয়েভ আসার চান্স নাকি প্রবল। খবরে তেমনই বলছে। আগাম টিকিট, হোটেল বুকিং সব জলে যাবে।এবার এলাকাতেই কাটাবে।পরিস্হিতি ভালো হলে বড়জোর মন্দারমনি কিংবা গোপালপুর।

মনীষটা আরেকটা পেগ বানাল।ওঁর চার নম্বর।অনিন্দ্যকে অফার করল, ‘ওয়ান মোর ডার্লিং’। অনিন্দ্য বুঝল, বিপিনবাবু মাথায় চড়ছে মনীষার। নাহলে ওকে ডার্লিং সম্বোধন কেন।পেগটা শেষ হতেই মনীষাকে বিছানায় নিয়ে গিয়ে ফেলল।অনিন্দ্য

ভেবেছিল, কিছুক্ষণের মধ্যেই মনীষা ঘুমিয়ে পড়বে।কিন্তু কোথায় ঘুম।খানিক বাদেই অনিন্দ্যর রোমশ বুকে বিলি কাটতে লাগল মনীষার আঙুল।

‘একটা কথা বলব, শুনবে বল’?

শেষ কবে এত নরম সুরে মনীষা কথা বলেছে অনিন্দ্যর মনে পড়ে না। আবার বোধহয়, নতুন করে ইস্যু নেওয়ার কথা বলবে।এই এক ঝামেলা।কিছুতেই বোঝাতে পারে না, একটা বাচ্চা মানুষ করতেই হিমসিম খাচ্ছে। আরেকটা এলে সামলাবে কে।দুজনেই তো চাকরিতে বেরিয়ে যায়।অনিন্দ্যকে মানুষ করার জন্য ওঁর মা চাকরি ছেড়েছিল। দিদির সাত বছর পর অনিন্দ্যর জন্ম।ওঁকে কষ্ট দিতে চায়নি বলেই মা স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছিল।মনীষা কি আদৌ চাকরি ছাড়বে।অনিন্দ্য বিলক্ষণ জানে সেটা কখনই সম্ভব নয়। তাছাড়া, সে নিজেও চাকরি ছেড়ে ঘরে বসে থাকার পক্ষপাতী নয়।মনীষা কি বলবে কে জানে।

‘বল, কি বলতে চাও?’

‘মাকে এনে রাখলে কেমন হয়?’ প্রস্তাবটা শুনে অনিন্দ্যর ভিরমি খাওয়ার উপক্রম। তবু সামলে নিয়ে বলে ‘আনো, কে বারণ করেছে। মাকে আনবে তো আমার সম্মতি নেওয়ার কি আছে?’

‘মামনি নয়, তোমার মায়ের কথা বলছি’।

অনিন্দ্য বুঝে উঠল না, এটা নেশার ঘোরে বলছে না সচেতন মনে। বিয়ের পর থেকেই মায়ের সঙ্গে গৃহযুদ্ধ।শাশুড়ির-বৌমার সম্পর্কটা কত মধুর হয়।কোথায়, কি। মনীষার শুধুই নালিশ।মাকে একটা দিন সম্মান করলো না। নিত্যদিন ঝগড়া আর অপমান। সংঘাতে জীর্ণ সংসারকে বাঁচাতে সমাধানের পথ একটাই খোলা ছিল, মাকে ওল্ড এজ হোমে রেখে আসা।

“যেটা বলছ ভেবেচিন্তে বলছো তো। তোমার কথা শুনে নতুন করে অশান্তি ডেকে আনতে পারব না”।

“তুমি কি ভাবছ, আমি নেশার ঘোর কথা বলছি। ডার্লিং আমাকে অত বোকা ভাব কেন? সবদিক ভেবেই বলছি তোমাকে”।

মনীষার বুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করার সাহস নেই। কিন্তু ওঁর এমন বোধোদয়ের কারণ কি?

মনীষা বলে চলল, “দ্যাখো এখন এটাই সেরা সময়। বাবানকে দেখভাল করার জন্য তোমার মা একেবারে আদর্শ”। কথাগুলো সহধর্মীনির বলে বিশ্বাস হচ্ছিল না অনিন্দ্যর। মনে হচ্ছিল ওঁর উপর কেউ ভর করেছে। এই মাকেই ‘ব্যাকডেটেড’ তকমা দিতে কুন্ঠা বোধ করেনি। মনীষার জানা ছিল না, মা নিজের সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে থাকা মহিলা। কিন্তু মূল্যবোধ, সামাজিক রীতিনীতিকেও অগ্রাহ্য করেনি কোনওদিন। “এই পরিস্হিতিতে বাইরের লোক বাড়িতে রাখা যাবে না। কিছুদিন বাদেই স্কুল খুলে যাবে। আমার অফিস। তুমি রাত করে ফিরবে। সারাদিন অফিস করে ফিরে ছেলেটাকে নিয়ে বসতে পারব না। অ্যাটেন্ডেন্ট তো আর পড়াশোনা শেখাতে পারবেনা। ওর জন্য ঠাকুমাই আইডিয়াল।, স্নান করানো, খাওয়ানো, পড়ানো সব সামলে দেবে। একেবারে কম্প্লিট লকডাউন প্যাকেজ। এক্সট্রা কোনও খরচ নেই”। একনাগাড়ে কথাগুলো বলে যায় মণীষা।

মাকে বাড়ি ফেরানোর কারণটা অনিন্দ্যর কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হল। বাবান জন্মের আগে ও পরে মেটা্রনিটি আর চাইল্ড কেয়ার লিভ নিয়ে প্রায় একবছর বাড়িতে কাটিয়েছে। অফিস জয়েন করার পর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। আয়া সেন্টারের লোকজন নিয়ে নাজেহাল। রোজ বাড়ি ফিরে ফোন করে নালিশ। ওঁরা নাকি বাবানকে ঠিক করে খাওয়ায় না, সময় মতো ন্যাপি চেঞ্জ করে না। একবছরে চারজন অ্যাটেন্ডেন্ট বদল হয়েছে। পরিস্হিতি যা দাঁড়িয়েছিল মণীষাকে কিছুদিন বাড়িতে থেকে পরিস্হিতি সামাল দিতে হত। ভাগ্গিস, লকডাউন হয়েছিল। নাহলে অফিসে ছুটি কিভাবে ম্যানেজ করত কে জানে।

পৃথিবী আবার স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে। মনীষাকেও কদিন পর অফিস বেরোতে হবে। বাবানের স্কুল আরম্ভ হয়ে যাবে। এই অবস্হায় সমস্যার সমাধান করতে পারেন সুমিতা। বাতিল করে দেওয়া শাশুড়িই মনীষার ভরসা। অনিন্দ্যর মনে পড়ছে ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো প্রবাদটার কথা।

‘গোল্ডেন ওল্ড এজ’ হোমের ফোনটা এসেছে আজ বিকেলেই। প্রথমে ওঁর সিদ্ধান্ত শুনে হোম কর্তৃপক্ষ অবাক হয়েছিল। সচরাচর এমনটা হয় না। ছেলে তাঁর মাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে তাঁরা আটকাতে পারেন না। মাকে ফিরিয়ে আনার কারণটা যদিও অনিন্দ্য বলতে পারেনি। ওখান থেকে জানিয়েছে সব পেপার রেডি। অনিন্দ্য চাইলে মাকে আগামিকাল বাড়ি নিয়ে আসতে পারে।

আয়নার সামনে মেকআপে ব্যস্ত মনীষা। একটু বাদেই গেস্টরা এসে যাবে। অনিন্দ্য ফোনটা কানে নিয়েই জানলার ধারে এসে দাঁড়িয়েছিল।স্হলপদ্ম গাছটায় কুঁড়ি এসেছে।শিউলিরা একে একে ফুটছে আবার ভোরে ঝরে যাচ্ছে। বেয়াড়া বৃষ্টিটা শরতের আমেজটা নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে।মায়ের বাড়ি ফেরার কনফার্মেশন নিউজটা মনীষাকে দেওয়া উচিৎ কিনা, অনিন্দ্য বুঝতে পারছিল না।

***

পার্টির হৈ-হুল্লোড় চরমে। এতদিন পর সবাই মিলিত হতে পেরে আনন্দে উদ্বেল।সেলফির ফোয়ারা ছুটছে।নাচের ভিডিও বন্দী হচ্ছে দামি স্মার্টফোনে। পুরো ব্যাপারটার সঙ্গে অনিন্দ্য মানিয়ে উঠতে পারছে না। আগামীকালের চিন্তা ঘুরছে ওঁর মাথায়। বুক পকেটে রাখা ফোনটা কেঁপে উঠল।অনিন্দ্য ইচ্ছে করেই ভাইব্রেট করে রেখেছিল। নাহলে এই গানের গুঁতোয় রিংটোন শোনা সম্ভবপর ছিল না।পকেট থেকে ফোন বের করে দেখল বৃদ্ধাশ্রমের নম্বর। এখন আবার ফোন কেন। এই তো বিকেলেই কথা হল। অনিন্দ্য বেশ বিব্রত। ছাদ থেকে নেমে সিঁড়ির দরজাটা বন্ধ করে ফোনটা রিসিভ করল।

‘হ্যালো, বাবু।শুনতে পারছিস আমার গলা’।

মা কেন ফোন করল এই সময়ে। অনিন্দ্যর মনে কৌতূ্হল।

“কাল আমাকে নিতে আসার সময় একটা কাজ করতে পারবি”।

সিঁড়িতে নামলেও ছাদের উপরের আওয়াজটা তখন কানে আসছে।

“কি কাজ বলো?”

“বাবানের জন্য একটা জামা-প্যান্ট আর চকোলেট নিবি।আর বৌমার জন্য একটা ভালো শাড়ি কিনে আনিস তো”।

“কিন্তু এসব কেন মা?”

“পুজোর সময় বাড়ি ফিরছি, খালি হাতে যাওয়া যায় বল। আর হ্যাঁ, তোর জন্য একটা টি-শার্ট নিয়ে নিস। আমি তোকে সব টাকা দিয়ে দেব”।

অনিন্দ্য উত্তর দিতে পারল না।মায়ের অভ্যাস এতটুকু বদলায়নি।নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল।ওঁর মনে তো মায়ের জন্য নতুন শাড়ি কেনার কথা আসেনি।মনীষাও তো বলেনি।‘ঠিক আছে নিয়ে যাব। তুমি রেডি থেকো কিন্তু’। বলে অনিন্দ্য ফোনটা কেটে দিল।

হঠাৎ ছাদের গান বন্ধ।মনীষার গলা শোনা যাচ্ছে। সবাইকে চুপ করার আবেদন।অনিন্দ্য ছাদের দরজার দিকে এগিয়ে গেল।ওদিকে মনীষার কন্ঠস্বর, ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান। একটা স্পেশাল অ্যানাউন্সমেন্ট। যে জন্য আজকের পার্টি”।

সবাই সমস্বরে চিৎকার করে বলল, ‘প্লিজ, তাড়াতাড়ি বল। নো মোর সাসপেন্স”।

“আমাদের ফ্যামিলিতে নতুন মেম্বার আসতে চলেছে”।

অনিন্দ্য থমকে দাঁড়াল। মনীষা করছেটা কি। মায়ের হোম থেকে ফেরার কথাটা এভাবে পার্টি দিয়ে অ্যানাউন্স করবে নাকি। ওঁর লজ্জায় মাথা কাটা যাবে। ওদিকে মনীষার ঘোষনা, ‘আই এম এক্সপেক্টেড।সেকেন্ড টাইম মা হতে চলেছি।মি: সেন বাবা হবেন।লেটস্ চিয়ার ফর অনিন্দ্য সেন”।

ছাদের উপরের সমস্বরে উল্লাস অনিন্দ্যর বুকে অপ্রত্যাশিত শক্তিশেল হয়ে বিঁধল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.