এক শবদ দিলহোরে” (অফুরন্ত ভয়)
সন্ধ্যা শেষে স্টেশন চত্বরে বসে ছিলাম উদাসীন
ট্রেন এসে থামলো, চোখ আটকে গেল জানালায়,
একটা হাত রেখেছে জানলার পাদানিতে,বন্ধ কাচের ওপারে
থুতনি ছুঁয়ে আছে কব্জি,শুধু কব্জি আর পাতা টুকু
মণিবন্ধে ঘড়ি, দুটো কাঁটা এক হয়ে থেমে গেছে কবে!
এক ভাবনার ভঙ্গিমা, কী ভাবছে সে?
এই মাত্র যে নদীটি পার হয়ে এলো তার কথা?
কোনদিনও নদীতে পা ভেজায় নি সে
সমুদ্র স্নানেও যায়নি কখনো, রোজ চাখছে সমুদ্রের লবণাক্ততা ,
খুব জানতে ইচ্ছে করছিলো,তার চোখে কি নির্লিপ্ততা?মৃতবৎ
ভাবছে;আমি অকারণ জন্মেছিলাম?অথবা ভুলেই গেছে ভাষা!
তার শরীর জুড়ে চাঁদের আলো, কলঙ্ক ঢেকে রেখেছে,
সহসা উড়ে গেল আড়াল,বন্ধ কামরায় ঝোড়ো হাওয়া এলো কোথা থেকে?
দেখলাম দুটি তরোয়াল চোখ; যেন রাতকে কেটে করবে খান খান
ফুলে উঠছে নাকের পাটা; মুখ দিয়ে বেরচ্ছে গলগল করে ধোঁয়া
ঠোঁট দুটি আওড়াচ্ছে “নাদিয়া আঞ্জুমান”এর কবিতা ।।