যতই করোনার আবহ থাকুক না কেন, বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো আসছে। উদযাপন তো থাকবেই। কোভিড বিধি মেনে সচেতনতা থাকবে, তবে তার মধ্যেও উদযাপন কি আর থেমে থাকবে! পুজো মানেই সব নিয়ম বেনিয়ম হবেই। আর শরীরের ওপর তো অত্যাচার চলবেই নিয়ম করে। শরীরচর্চা থেকে খাদ্যাভাস, ঘুম সবই অনিয়মের রাস্তা ধরে হাঁটবে সেটাই স্বাভাবিক।
অধিকাংশ বাঙালির কাছে পুজোর ক’দিন হইহুল্লোড় না করলে, অনিয়ম না করলে পুজো পুজো ফিলিং আসবে কোত্থেকে! যতই নিজের গাড়ি থাকুক অথবা ক্যাব ব্যাবহার হোক না কেন পুজোর ক’দিন মানেই রেকর্ড হাঁটা, প্রচুর রিচ খাবার খাওয়া, রাত জেগে অনেক বেলায় ঘুম থেকে ওঠা। বাইরে বেরনো এবার হয়তো একটু কম হতে পারে করোনার জন্য কিন্তু অনিয়ম যে হবেই তা আর বলে দিতে হয় না।
একটা কথা কি কখনও ভেবেছেন কত দূরত্ব হেঁটে ফেলা হয় এই ক’দিন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে বা ঠাকুর দেখতে গিয়ে? কিংবা রাতে কতক্ষণ ঘুমালেন? আপনার সারাদিনের হার্ট বিট প্রতি মিনিটে কত থাকে? এখন প্রযুক্তি এগিয়েছে অনেক। স্মার্টফোনের যুগে এসব নিয়ে আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না। বাজারে এখন পাওয়া যায় অনেক রকমের স্মার্ট ব্যান্ড, স্মার্ট ওয়াচ। এই ব্যান্ডগুলোর মূল কাজ আপনার সারাদিনের ক্রিয়াকলাপের রেকর্ড করে রাখা আর শরীরের হালহকিকত সম্পর্কে আপনাকে জানান দেওয়া।
এই ব্যান্ড আপনাকে বলে দেবে আপনি কত কিলোমিটার হেঁটেছেন, কত ক্যালরি খরচ হল। এমনকি রাতের ঘুমে আপনার গভীর ঘুম কতটা, হালকা ঘুম কতটা, মোট কত ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন ইত্যাদি প্রায় নির্ভুল পরিসংখ্যান পেয়ে যাবেন আপনি।
এই স্মার্ট ব্যান্ডগুলোর দামও খুব সুবিশাল কিছু নয় এর কাজের তুলনায়। ব্যান্ডগুলোর সেন্সরও প্রায় নির্ভুল রেজাল্ট দেয়। ঘড়ির মতো এর ব্যান্ডগুলোও নানা রঙের, নানা ডিজাইনের পাওয়া যায়।
ফোনের সঙ্গে ব্যান্ডের ব্লুটুথ কানেক্ট করে নিলেই হল, সমস্ত তথ্য ফোনের স্ক্রিনে দেখতে পাবেন, এই ব্যান্ড যা যা আপনাকে জানাতে চায়। তাই পুজোয় অনিয়ম হোক। তবে তার একটা রেখাচিত্র যদি পান এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তীতে কীভাবে শরীর ফিট রাখবেন সেই ইন্সট্রাকশান পান তাহলে বড়সড় শরীর খারাপ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই পুজো উদযাপন করুন। তবে নিজের শরীরের প্রতিটা পদক্ষেপ জানতে ও পুজোয় এবং তার পরে ফিট থাকতে সঙ্গে রাখতে পারেন ফিটনেস ট্র্যাকার।