নুনরঙের কুয়াশা
রাত জাগতে জাগতে ভুলে গেছি
কেন রাত জাগি!
কেন কাঁদি, কেন ভেঙে গেছে সাঁকো
সাঁকোর এপারে আমি
ওপারে নুনরঙের কুয়াশা!
যে কুয়াশা ছিঁড়ে হেঁটে এসেছিল কেউ
কী নাম? বাড়ি কোথায়?
মনে নেই- অনেক পুরোনো কথা।
গঙ্গায় ভেসে যাওয়া শুকনো মালার মতো
কেউ ঘুরে ফিরে আসে
কুয়াশার মতো দাঁড়ায়- ডাকে!
আজও ডেকে গেল
ডেকে চলে যাওয়া তার স্বভাব।
কেউ আমার ছায়া ধরে টানে-
কেউ আছে
নতুবা রাত জাগি কেন?
কেন দাঁড়িয়ে থাকি ভাঙা সাঁকোর এপারে!
আমার তো ঘরের দরজা বন্ধ করার কথা ছিল।
ঋণ
মায়ের আঁচলের নিচেও নিজেকে বোঝা মনে হয়।
এমন নির্ভেজাল শীতলতাকে
কোনোদিন কিছুই ফিরিয়ে দিতে পারব না।
আমার সবকিছু খেয়ে গেছে
বিকেলফেরা একটি শালিক!
প্রতিটি নিষ্ঠুরতম দিন আমাকে পচিয়ে পচিয়ে
কঙ্কাল উপহার দেয়।
অসুখটা বড্ড বড়লোকি- ব্যয়বহুল
আমার বিছানা থেকে কেঁদে ওঠে
মায়ের পরাজিত দুটি চোখ।
মা, আমার কবরের ওপর
যে ফুল ফুটে থাকবে
তাতে কেবল তোমার চোখের জলের গন্ধই পাওয়া যাবে।
